প্রেম পরিণতি - The Best Romantic Story
চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের পর্ব ---
প্রেম পরিণতি (2)
গুঞ্জা ফোন হাতে দৌড়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে গেল, সাথে সাথে ওর বন্ধুরাও বেরিয়ে গেল। নীল ওর বেরিয়ে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে। গুঞ্জা হোটেলে নিজের রুমে গিয়ে ব্যাগ নিয়ে বেরোতে যাবে ওর বন্ধুরা গিয়ে ওর সামনে ওকে ঘিরে দাঁড়ালো।
- " সামনে থেকে সরে যা তোরা আমি বাড়ি যাবো "
মল্লিকা বলল, "গুঞ্জা বাবু রাগারাগি করিস না এখন তো মাথা ঠান্ডা রাখ "
- "মাথা ঠান্ডা রাখবো! তুই তো দেখেছিস ওই কমেন্টস গুলো, আমার ফোনে কিসব ম্যাসেজ এসেছে দেখেছিস তোরা?"
তন্নী বলল, " একটা সামান্য ব্যাপার এরকম হয়ে যাবে আমরা কেউই বুঝতে পারিনি ইভেন নীল দারাও বুঝতে পারেনি কি করে হলো "
- "থাক ওর হয়ে আর সাফাই দিস না সড়ে দাঁড়া আমি বাড়ি ফিরবো "
গুঞ্জা যেতে গেলে ওর বান্ধবীরা ওকে ভিতরে টেনে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো। গুঞ্জা বের হওয়ার চেষ্টা করেও অসফল হলো, ঘরে সবাই পায়চারি করছে, গুঞ্জা মাথা নিচু করে বসে। হঠাৎ নীলাঞ্জনা বাইরে থেকে ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে বলে উঠলো, " গুঞ্জা দেখ একবার "
নীলাঞ্জনা ফোনটা নিয়ে গুঞ্জার হাতে দিলো, সবাই ফোনের দিকেই তাকিয়ে মল্লিকা বলল, " নীল দা লাইভে! দেখ গুঞ্জা কি বলছে ও "
নীল লাইভে এসে বলছে, " গুড আফটারনুন, আজ আমি একদিনে দুবার লাইভে এলাম, যারা যারা এর আগে লাইভে ছিলে তারা সবাইই দেখেছো যে হঠাৎ করে একটা ইনসিডেন্টের জন্য আমাকে লাইভ থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল, তার জন্য এম এক্সট্রেমলি সরি, একচালী এখন লাইভে আসার একটাই কারণ হলো কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিওটি" এরমধ্যে লাইভে আসা মাত্রই প্রচুর প্রশ্ন ওর দিকে ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে নীল সেদিকে না তাকিয়েই বলে যাচ্ছে,
- " ভিডিওটিতে তোমরা যা দেখেছো সবটাই এক্সিডেন্টলি হয়ে গেছে, ওটা কেউ ইচ্ছা করে করেনি সো তোমরা যারা ভিডিও টি নিয়ে ভুল মিনিং বের করছো তারা এটা কোরো না, আরে ইয়ার এটা ওই মেয়েটার সম্মানের ব্যাপার ও কোনো দোষ না করেই মিছিমিছি সবার কাছে বাজে কমেন্টস শুনছে, তোমরা প্লিজ বোঝো and আমার রিকুয়েস্ট যাদের কাছে ভিডিওটা আছে তোমরা ভিডিওটা ডিলিট করে দেবে আর এই নিয়ে যদি আমি কোনো ধরণের আর কোনো বাজে মিমস দেখি দেন আই উইল টেক লিগাল একশন,"
শ্রীমা বলল, " দেখলি তো নীল দা তোর জন্য, তোর যাতে কোনো অসম্মান না হয় তার জন্য সবার সামনে এতগুলো কথা বলল আর তুই.."
গুঞ্জা ওর দিকে মুখ তুলে তাকিয়ে বলল, " জাস্ট শাট আপ সব ওর জন্যই তো হয়েছে, এখন এসেছে আমার সম্মানের কথা ভাবতে এর আগে কত কথা আমাকে শুনতে হলো দেখ আমার ফোনটা দেখ" নিজের ফোনটা শ্রীমার হাতে দিলো।
অর্পিতা বিরক্ত হয়ে বলল, "ও হো গুঞ্জা তুই সব সময়ই এত বেশি রিয়্যাক্ট কেন করিস, সোশ্যাল মিডিয়া তো এরকমই জানিস আজ বলছে কাল সবাই সবটা ভুলে যাবে সো প্লিজ কাম ডাউন "
গুঞ্জা উঠে দাঁড়িয়ে বলল, " না আমি আজই বাড়ি ফিরবো " গুঞ্জা নিজের ব্যাগটা নিয়ে বেরোতে যাবে দরজায় দাঁড়িয়ে নীল বলল, " তুমি কোথাও যাবে না "
সবাই ঘুরে ওর দিকে তাকিয়ে নীল আর ওর বন্ধুরা ভিতরে এসে নীল বলল, " বাড়ি যাওয়ার হলে কাল যাবে আজ না, তোমার কোনো ধারণা আছে এখান থেকে কলকাতা যাবে তাও আবার ট্রেনে একা একা, কাল যাবে "
গুঞ্জা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, "এখন কি তুমি ঠিক করে দেবে আমি কি করবো আর কি করবো না"
নীল ওর সামনে এগিয়ে এসে বলল, " দরকার পড়লে বলবো, যেটা ঠিক সেটা আমি হাজার বার বলতে রাজি আছি "
গুঞ্জা জোর দিয়ে বলল, " আমি যাবো মানে যাবো, তোমার কোনো কথা শুনতে আমি বাধ্য নই"
গুঞ্জা ব্যাগ কাঁধে বেরিয়ে যেতে গেলে নীল বলল, "আমি যেমন মেয়েদের সম্মান করি তেমন বেশি বাঁদরামি করলে তাদের নিয়ে বাঁদর খেলাও দেখাই" গুঞ্জা দাঁড়িয়ে পরে ওর দিকে তাকিয়ে " দেখো আমার ব্যাপারে নাক গলানো আমার একদম পছন্দ না তাই প্লিজ.. " বলে হাত জোড় করে আবার দরজার দিকে ঘুরে এগিয়ে যেতে গেল।
নীল আবার বলল, " আমার একটা কথায় যেমন সম্মান ফিরে পেয়েছ তেমনি আমার একটা ভিডিওয় কিন্তু অসম্মানিতও হতে পারো তাই ভালোয় ভালোয় বলছি কাল যাবে "
শারিফ বলল, " হ্যাঁ আর আমরা তো এমনিতেই দুটো গাড়ি এনেছি তোমরা আমাদের সাথেই কলকাতা পর্যন্ত চলে যেতে পারো "
গুঞ্জা শারিফের দিকে তাকিয়ে বলল, "না যাবো না, ব্ল্যাকমেইল করে রেখে দিচ্ছ আবার বলছো তোমাদের সাথে যেতে" নীলের দিকে তাকিয়ে বলল, " শ্রী (শ্রীমা) তুই বলছিলিস না তোদের নীলদা কত সম্মান করে মেয়েদের এখন দেখলি তো নিজের মুখেই বলল কতটা সম্মান করে "
নীল বিরক্ত হয়ে গুঞ্জার বন্ধুদের বলল, " আমার এসব স্টুপিডের কথা শুনতে ইচ্ছা করছে না, আমরা আসছি আর যদি বেশি বাঁদরামি করে পাশের রুমটাই আমার একবার নক করে দিও "
নীল বেরিয়ে গেল সাথে ওর বন্ধুরাও। নীল নিজের রুমে গিয়ে বসে আছে জয় ওর পাশে বসে বলল, " নীল, আমরা বুঝতে পারছি তুই একটু আপসেট আছিস এমন একটা বাজে ব্যাপার হলো "
নীল ওর দিকে তাকিয়ে বলল, " না আমি আপসেট না, আমি ভাবছি আমার সমালোচকরা কি এই ব্যাপারটা ক্যাজুয়ালী নেবে? দেখ এমনিতেই ওরা হামেশাই আমার এক একটা ডায়লগ, কন্টেন্ট নিয়ে সমালোচনা করেই যাচ্ছে তার উপর গুঞ্জার সাথে যেটা হলো, সামান্য ব্যাপারটাকেও ওরা ছাড়বে না, এমনিতেই আমাকে ও খুব খারাপ একজন মানুষ ভাবে দেখলিই তো আজ প্রথম দেখা আর আজই কিভাবে কথা বলল এর থেকেই বোঝা যায় ও কতটা হেট করে আমাকে "
অজয় খুব হাসিখুশি একটা ছেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য বলল, " তো তোর কি মনে লাগছে ভাই যে একটা সুন্দরী মেয়ে তোকে ওই ভাবে বলল, এমনিতে কত মেয়ে তোর পিছনে পরে আর ওই একটা মেয়ে তোর ইজ্জতের ব্যান্ড বাজিয়ে দিলো, বুঝতেই পারছি খুব কষ্ট হচ্ছে এখানে " অজয় নীলের বুকের বাম দিকে হাত দিয়ে দেখালো, নীল ওর দিকে তাকিয়ে হাতটা সরিয়ে বলল, " তুই একটু চুপ করলে ভালো হয়, আর শোন আমার কোনো যায় আসে না আমার ব্যাপারে কে কি ভাবলো " নীল উঠে বেরিয়ে গেল।
গুঞ্জা বাধ্য হয়ে আজকের দিনটা থেকে গেল। পরেরদিন সবাই একসাথে কলকাতা ফিরে যাবে, তাই সবাই রেডি হয়ে হোটেলের বাইরে দাঁড়িয়ে গুঞ্জা কিছুতেই ওদের গাড়িতে যাবে না ও ট্রেনে যাবে বলে জেদ ধরে আছে। ওর বন্ধুরা অনেক বার বোঝাচ্ছে কিন্তু গুঞ্জা প্রচন্ড জেদি স্বভাবের মেয়ে তাই কিছুতেই রাজি হচ্ছে না। এদিকে নীলরা গাড়িতে বসে বসে বিরক্ত হচ্ছে। শারিফ নীলকে বলল, " নীল ভাই কি হয়েছে বলতো এখনো গাড়িতে উঠছে না এরপর তো কলকাতায় পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়ে যাবে "
জয় বলল, " কি দরকার ছিল বল তো ওদের কে নিজেদের সাথে নিয়ে যাওয়ার ওরা তো একাই এসেছে নাকি আমাদের ভরসায় তাহলে একাই যেতে পারতো, খামোখা ওই মেয়েটার কড়া কড়া যথা শুনতে হতো না "
নীল ওদের বসতে বলে নেমে গুঞ্জাদের কাছে গিয়ে বলল, " কি হলো তোমরা এখনো গাড়িতে কেন উঠছ না? "
- "দেখো না নীলদা ও কিছুতেই গাড়িতে উঠতে চাইছে না " (নীলাঞ্জনা)
- " ওকে তোমরা যাও আমি দেখছি "
- " কিন্তু.. ও " (মল্লিকা)
নীল মল্লিকাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, " সাপকে কিন্তু একজন সাপুরেই হ্যান্ডেল করতে পারে "
গুঞ্জার বন্ধুরা ওর দিকে আর একবার গুঞ্জার দিকে তাকিয়ে কাঁচুমাচু মুখ করে গাড়িতে গিয়ে বসল। নীল পাশে দাঁড়িয়ে বলল, " তোমার এত কিসের ইগো? "
- " আমার ইগো? " (অবাক হয়ে বলল)
- " হুম এখানে তো তুমি আর আমি ছাড়া আর কেউ নেই "
- " আমার কোনো ইগো নেই, তোমার ইগো আছে "
- " ওহ রিয়েলি? তুমি আসলে নিজেই জানো না ইগো ঠিক কোনটাকে বলে, তোমার নিজের এত কিসের ইগো? তুমি কি ভাবো তুমি একাই জীবনে সব কিছু করতে পারো? আর কোনো মানুষ কিচ্ছু করতে পারে না? তুমি যা করবে সেটাই ট্যালেন্ট আর অন্য কারও ট্যালেন্ট গুলো ট্যালেন্ট না? আমি তোমাকে সবার সামনে ইনসাল্ট করতে চাইনি তাই জন্যে কাল চুপ ছিলাম, কিন্তু এটাকে যদি তুমি আমার উইকনেস ভাবো তাহলে মিস গুঞ্জা ইউ আর রং, এটা আমার উইকনেস না এটা আমার শিক্ষা, কাউকে অপমান করতে গেলে নিজেকেও অনেকটা নীচে নামতে হয় যেটা আমার শিক্ষায় নেই "
- " তুমি কি বলতে চাইছো আমার শিক্ষা খারাপ? আমার শিক্ষা নিয়ে তুমি কথা বললে "
- " ওটা তোমার ভাবনা আমার না, আমি কখনোই তোমার শিক্ষা নিয়ে কথা বলিনি কারণ এটুকু জানি কখনো বাবা মা ছেলেমেয়েকে খারাপ শিক্ষা দেন না, খারাপ শিক্ষা তারা নিজে থেকেই গ্রহণ করে। তোমার তো ভাগ্য ভালো এত ভালো ভালো বন্ধু পেয়েছ যারা তোমার মত একজন স্বার্থপর মানুষের পাশে এখনো আছে "
- " আমি স্বার্থপর? "
গুঞ্জার গলার স্বর সরু হয়ে এলো নীল বলল, " হুম স্বার্থপর এবং হার্টলেস সব সময় ভাব নিজে যেটা বলো সেটা ঠিক আর বাকি সবাই যেটা বলে সেটা কখনো ঠিক হতেই পারে না, ওদের ভালো লাগার কখনো সম্মান করেছ? কিন্তু ওরা সব সময় তোমার ভালো লাগার সম্মান করে গেছে কাল থেকে আমি ওদের দেখছি তোমার আমাকে পছন্দ না বলে ওরা তোমার সামনে চুপ ছিল, তোমাকে আঘাত করে ওরা একটাও কথা বলেনি, ওরাও মানুষ ওদেরও ভালো লাগা খারাপ লাগা আছে তুমি তো রীতিমত ওদের নিজের সম্পত্তি ভাবো, ভাবো তোমার জন্য ওরা যেন ওদের সব পছন্দের পরিবর্তন করে নেয় "
গুঞ্জা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে এর আগে ওকে কেউ এভাবে বলেনি, গ্রামে বাড়ি বলে ওর বাবা ভালো স্কুল-কলেজে পড়ানোর জন্য ওকে কলকাতায় হোস্টেলে পাঠিয়ে দিয়েছিল, তাই বাবা মার শাসনটা ও পায়নি তাই হয়তো একটু বেশি অবুঝ হয়ে গেছে কোথায় থামতে হয় সেটা কখনো শেখেনি। আজ এভাবে নীলের কাছে কথা গুলো শুনে চুপ করে আছে।
নীল মনে মনে বলল, "অনেক বলে ফেলেছি মনে হয়"
- "কি হলো চুপ কেন?"
গুঞ্জা কিছু বলছে না এর মধ্যে নীলের কিছু ফ্যান এসে ওকে ঘিরে ধরলে গুঞ্জা মাঝখান থেকে বেরিয়ে এসে করুণ ভাবে নীলের দিকে তাকায় ও এখন ফ্যানেদের সাথে সেল্ফি তুলতে ব্যস্ত সবাই ওকে ঘিরে আছে। গুঞ্জা চুপ চাপ গিয়ে গাড়িতে উঠলো, নীল ওর ভক্তদের বিদায় দিয়ে পাশে তাকালে দেখলো গুঞ্জা নেই তারপর গাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে গাড়িতে বসে আছে। নীল গিয়ে অন্য গাড়িতে উঠলো।
গাড়ি চলতে থাকলো নিজের গন্তব্যে, কলকাতায় পৌঁছে গাড়ি থেকে নেমে গুঞ্জার বন্ধুরা নীলদের ধন্যবাদ জানাতে গেল কিন্তু গুঞ্জা একদিকে সরে গিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো, একবারও মাথা তুলে পর্যন্ত তাকায়নি। নীলরা গাড়ি নিয়ে চলে গেল।
অর্পিতা গুঞ্জা কে বলল, " কিরে মেসে জাবি তো? "
- " নারে আমি এখান থেকে বাড়িতে যাবো, এমনিতেই কয়েকদিন পর কলেজে assignment জমা আর ভাবছি বাড়ি থেকেই ওগুলো রেডি করবো তারপর একেবারে ফ্ল্যাটে যাবো, তোদের তো বলেছিলাম বাবাই ফ্ল্যাট গিফ্ট করেছে বার্থডে তে "
শ্রীমা মুখ চুন করে বলল, "তার মানে তোর সাথে আর দেখা হবে না? "
- "কেন হবে না আমি তো মেসে যাবো আমার বই আর যাবতীয় জিনিস আনতে আর তাছাড়াও মেস আর কলেজ থেকে ফ্ল্যাট খুব বেশী দূরে না তাই তোরা প্রায়ই যেতে পারবি আর আমিও মাঝে মাঝে তোদের সাথে গিয়ে দেখা করে আসবো "
নীলাঞ্জনা বলল, " কিন্তু ওই হারাধনের জামাইটা যা মেসে না থাকলে যদি তোকে ঢুকতে না দেয়"
তন্নী হেসে বলল, " তখন আমার একটা মুক্কাই যথেষ্ট ওই বজ্জাতটার জন্যে "
সবাই হেসে উঠলো গুঞ্জা কোনোরকমে মুখে হাসি আনলো। তারপর সবাইকে গলা জড়িয়ে ধরে বিদায় জানিয়ে বাসে উঠে পড়ল।
চলবে....
[নীল আর গুঞ্জার চরিত্র টা কেমন লাগছে কেউ তো জানাও। আর এই কয়েকটা পর্বে কি তোমার কেউ নীল আর গুঞ্জা চরিত্রটা কে বুঝতে পেরেছো? ]
আরো নতুন নতুন Bangla Golpo এবং Poem পড়ার জন্য এক্ষুনি আমাদের সাইটটিকে বুকমার্ক করে রাখুন এবং আমাদের ফেসবুক পেজ টি লাইক করুন যাতে পরবর্তী নতুন কোন Bengali Golpo বা Kobita আমাদের সাইটে প্রকাশ হলে আমাদের সাইটের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলির দ্বারা আপনি আপডেট পেয়ে যান ।

0 Comments