প্রেম পরিণতি (3) - The Best Romantic Story with sum comedy sins and sum sad

প্রেম পরিণতি - The Best  Romantic Story 







চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের পর্ব ---

প্রেম পরিণতি  (3)

 নীল গাড়িতে যেতে যেতে একটাই কথা ভাবছে এখনো কত মানুষ আছে যারা গুঞ্জার মতোই ওর বিরুদ্ধে, তবে এসবে ওর কোনো যায় আসে না কারণ ও ভালো করেই জানে যে এক জীবনে কখনোই একজন মানুষ সবার কাছে ভালো হতে পারে না বা সবার মনে জায়গা করে নিতে পারে না।


এদিকে গুঞ্জা বাসে করে এসে পৌঁছালো ওর গ্রাম হরিদেবপুরের বাস স্টপে, ওখান থেকে টোটো করে সোজা নিজের বাড়ির সামনে। গাড়ি থেকে নেমে ভাড়া দিয়ে গুঞ্জা বাড়ির বাইরের গেটটা খুলে ভিতরে ঢুকলো। রাস্তার দুপাশের ছোট কিছুটা জমিতে ওর সাধের ফুল গাছগুলোয় বেশ ভালোই ফুল হয়েছে, ওগুলো ও পুজোর ছুটিতে এসে লাগিয়েছিল। গাছ গুলোকে দেখে গুঞ্জা ব্যাগ রাস্তার উপর রেখে দিয়ে বসে পড়ে ওর হাত ফুলগুলোর উপর ছুঁইয়ে দিলো, তখনই হঠাৎ ওর বোনের টেনিস বলটা গড়িয়ে এসে কয়েকটি ছোট ফুল গাছের উপর পড়লো। গুঞ্জা তাড়াহুড়ো করে বলটা হাতে নিয়ে ফুল গাছটা ঠিক করে মাথা তুলতেই দেখে ওর বোন রিমঝিম হাসি মুখে দাঁড়িয়ে, গুঞ্জা বলটা বাড়ির পাশের লনের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে চেঁচিয়ে বলল, " দেখে খেলতে পারিস না আর একটু হলেই তো গাছ গুলো যেতো, এরকম কি রোজ করিস নাকি? আর কখনো যদি এরকম ভাবে টেনিস খেলে আমার গাছগুলোকে আঘাত করিস না তাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না "

রিম বলল, " আরে দি তুই কতদিন পর এলি আর আসতে না আসতে তোর বকাঝকা শুরু! কি হবে যদি একটা গাছ ভেঙে যায় ওতগুলো তো আছে " গুঞ্জা হাত তুলে বলল, " এক চড়ে তোর দাঁত গুলো ফেলে দেবো, তোর জিনিস যদি কেউ ভেঙে দেয় তখন তোর কেমন লাগবে বল "

চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ওদের মা রেখা দেবী ভিতর থেকে বাইরে আসতে আসতে বললেন, " এই রিম কি হয়েছে রে গুঞ্জার মতো... " উনি শেষ করার আগেই গুঞ্জাকে দেখে খুশি হয়ে বললেন, " গুঞ্জা.. " গুঞ্জা দৌড়ে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে বলল, " মা কেমন আছো ? "

- " মেয়ে বাইরে থেকে পড়াশোনা করে মা আর কেমন থাকতে পারে বল "

- " ওহো তাই, আমার সোনা মা রাগ করেছে দেখছি,, মা আমার দিকে তাকাও দেখো আর কয়েকটা মাস তারপরেই তো আমি বাড়িতেই থাকবো বলো, আমার কলেজও শেষ তারপর সব সময় তোমাদের সাথে থাকবো "

- " ঠিক আছে অনেক কথা হয়েছে দাঁড়িয়ে না থেকে ভিতরে চলো, রিম ভিতরে আয় "

রিম মুখ গোমড়া করে বলল, " না আমি যাব না তুমি তোমার আদরের লাটলি কে নিয়ে যাও, সব সময় আমার উপর চিৎকার করে "

গুঞ্জা নালিশ করে বলল, " তুমি বলো মা আমার ফুলের গাছগুলো ও ভেঙে দিলে আমি রাগ করবো না কি ওর পুজো করবো? "

রেখা দেবী গুঞ্জার কাঁধে হাত রেখে বললেন, " হ্যাঁ গুঞ্জা ঠিক করেছিস, কিন্তু রিম কে বকাটাও উচিত হয়নি ও তো ছোট ওকে বুঝিয়ে বললে ও কথা শুনবে, এমনিতে কতদিন পর পর তোদের দেখা তার মধ্যে যখনই আসিস দুজনে ঝগড়া করিস "

- " মা তুমি আমায় ঝগরুটে বললে? "

- " না তুই ঝগরুটে না  এবার ভিতরে চল তো এই রিম দিদির ব্যাগটা নিয়ে ভিতরে আয় তোকে আর প্র্যাকটিস করতে হবে না "

গুঞ্জা রিমের দিকে তাকালে রিম ওকে ভিঞ্চি কেটে ব্যাগটা হাতে নিয়ে ভিতরে যায়, গুঞ্জা ওদের পিছু পিছু যায়। গুঞ্জা ড্রইংরুমে এসে বলল, " মা বাবাই কোথায় দেখছি না তো,  বাড়িতে নেই নাকি? "

রেখা দেবী জলের গ্লাস ওর হাতে দিয়ে বলল, " নারে, তোর বিক্রম কাকুর হরীদেবপুরের কারখানার একটা কাজে গেছে সন্ধ্যের আগেই ফিরে আসবে "

গুঞ্জা জল খেয়ে নিজের ঘরে গেল মানে ওর আর রিমের ঘরে। ফ্রেস হয়ে চেন্জ করে রান্নাঘরে গেল, রেখা দেবী ওর জন্যই খাবার তৈরি করছিলেন ওকে বসিয়ে প্লেটটা ওর সামনে রেখে নিজের হাতে খাইয়ে দিতে লাগলেন।

গুঞ্জা খেতে খেতে বলল, " মা আজ আমার ঘরে শোবে প্লিজ.. "

- " হঠাৎ কি ব্যাপার? এমনিতে তো বলো না আজ কি হলো "

- " প্লিজ আমার সাথে থেকো, রাতে তোমার কোলে মাথা রেখে বলবো আমার অনেক কথা আছে তোমার সাথে "

- " ঠিক আছে শোব এবার গাল নাড় মুখে খাবার নিয়ে বাচ্চাবেলার মতো বসে আছিস "

গুঞ্জা মায়ের সাথে কথা বলতে বলতে খাচ্ছে। এদিকে আজ নীল ওর ফ্ল্যাটে না গিয়ে বাড়ি গেছে ওর মা বেশ কয়েকদিন ধরেই ওকে বাড়ি যাওয়ার কথা বলছেন। বাড়ি ফিরতেই বাড়ি ভর্তি লোকজন ওকে ঘিরে ফেলল, ওদের একান্নবর্তী পরিবার ঠাকুমা দাদু এখনো বেঁচে ওকে কতগুলো মাস পর দেখে ওর দাদু বললেন, " এই যে দাদা মনে পড়লো এই বুড়োবুড়ির কথা? "

- " ওর আমাদের কথা মনে পড়বে তুমি ভাবলে কি করে ? দেখো গে কোন ক্যামেরাটা রেখে গেছে সেটাই আনতে এয়েছে " (ঠাম্মা)

নীল দুজনের মুখের দিকে দেখে ওনাদের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে দুজনের কাঁধে হাত রেখে বলল, " ওহ ঠাম, সুপারম্যান (দাদু) তোমরা ভাবলে কি করে তোমাদের স্পাইডি তোমাদের ভুলে গিয়ে তোমাদের কাছে আসবে না "

ওর দাদু অভিমান করে বললেন, " তা নয় তো কি স্পাইডি, ভুলে গেছো তাই জন্যই তো আর বাড়ি ফেরো না " ওর ঠাম্মা বললেন, " দাঁড়াও না এবার যখন এসেছে বিয়ে খানা দিয়ে তারপর মুক্তি দেবো, তখন আমাদের টানে না হলেও বউয়ের টানে ঠিক থাকতে বাধ্য "

নীলের দিদি পিউ বলল, " এই নাহলে আমার ঠাম, ঠাম ওই যে মেয়েটা দিলীপ আঙ্কেলের মেয়ে কি যেন নাম হ্যাঁ রাত্রি ওই মেয়েটার সাথে আমাদের নীলুকে দারুণ মানাবে বলো "

- " ওহ দি প্লিজ স্টপ ইট, এখন বিয়ে দেওয়ার চিন্তা মাথাতেও আনবি না "

- " কেন আনবে না সবাই যা বলছে সেটা ঠিক বলছে " (ওর মা)

- " মা তুমিও!"

- " হ্যাঁ আমিও একই কথা বলছি "

নীলের কাকিমা বললেন, " কেন বলবে না বলতো নীলু তোর বয়সী একটা ছেলে আবার এত নাম ডাক, কত মানুষ তোকে চেনে দেখতেও মন্দ নোস মিঠাই তো ওই ভিডিওটা দেখালো, একটা মেয়ে নাকি দৌড়ে এসে সোজা তোর উপরে, ছিঃ ছিঃ কি মেয়ে রে বাবা কোনো লজ্জা সরম নেই। তোর একটা বিয়ে না দিলে এরকম কতবার যে হবে তার ঠিক নেই"

নীল বিরক্ত হয়ে বলল, " ওহ কাম অন কাকিমা ওটা জাস্ট একটা এক্সিডেন্ট ছিল গুঞ্জা ইচ্ছাকৃত ভাবে কিছুই করেনি " সবাই ওর কথায় মুখের দিকে তাকালো, ওর কাকার মেয়ে ঐশী বলল, " দাভাই তুই চিনিস মেয়েটাকে ?"

- " চিনি না, ওই ঘটনার পর পরিচয় হয়। আচ্ছা মা আমাকে কি তোমরা এইভাবেই দাঁড় করিয়ে রাখবে নাকি ঘরে যেতে দেবে? আমার খিদেও পেয়েছে তো "

- " ঠিক আছে যা আমি খাবার রেডি করছি "

নীল ওর বোনের পনিটেল করা চুলটা টান মেরে চলে গেলে ঐশী মাথায় হাত দিয়ে নীলের মাকে বলল, " জেম্মা এটা কি হলো তুমি দাভাই কে কিছু বললে না কেন? "

- " দাঁড়া ও আসুক তারপর দেখাচ্ছি মজা "

নীল ফ্রেস হয়ে খেতে এলে ওর মা ওকে খাবার বেড়ে দিয়ে ওর সামনে বসলেন। মা ওর দিকেই তাকিয়ে আছে দেখে নীল বলল, " কিছু বলবে মা? "

- " হ্যাঁ একটা কথা ছিল, শোন অমিতের আগামী পঁচিশ তারিখে বিয়ে "

- " কি! দাদার পঁচিশ তারিখ বিয়ে আর আমাকে কেউ বলোনি! "

- " তুই কি বাড়ি তে থাকিস? বাড়ির সাথে কত যোগাযোগ রাখিস বল, আচ্ছা সে সব বাদ দে শোন তোকে কিন্তু বিয়ের দায়িত্ব নিতে হবে। "

- " ওকে, তবে কালই আমাকে ফ্ল্যাটে যেতে হবে আমি বিয়ের দুদিন আগে ঠিক

চলে আসব "

- " ওসব হচ্ছে না, তুমি এখন কোথাও যেতে পারবে না "

- " মা প্লিজ, ওকে আমি পাঁচদিন আগে চলে আসব "

- " না এক সপ্তা "

- " ওকে হ্যাপি? "

- " ওই ভাবে বলছিস কেন বাবু? "

- " আরে কি ভাবে বললাম? আচ্ছা ঠিক আছে আপনি কি খুশি হয়েছেন মাতে ? "

ওর মা জোরে হেসে বললেন, "  হ্যাঁ খুশি হয়েছি পুত্র "


★★★★★★★★★★★★★★★★


রাতে গুঞ্জা মায়ের  বুকে মাথা দিয়ে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে রেখা দেবী খাটে হ্যালান দিয়ে বসে একহাতে গুঞ্জাকে জড়িয়ে ধরে ওর মাথায় হাত বোলাচ্ছেন। গুঞ্জা বলল, " আচ্ছা মা আমাকে তোমার কি বলে মনে হয়? " রেখা দেবী বুঝতে না পেরে বললেন, " মানে! "

- " আমাকে কি তোমার স্বার্থপর বলে মনে হয়? "

- " এটা কি কথা গুঞ্জা? "

- " না মা বলো না, আচ্ছা আমি কি হার্টলেস? "

- " গুঞ্জা এটা কি ইয়ার্কি হচ্ছে বল তো ? "

- " আমি যা জিজ্ঞাসা করছি প্লিজ বলো মা, আচ্ছা আমি কি অহংকারী? সত্যি ঝগরুটে? "

- " কি হয়েছে বল তো তুই হঠাৎ এইসব কি প্রশ্ন করছিস? "

- " আচ্ছা মা আমি কি সবাইকে অকারণে অপমান করি? আমি কি নিজের সব ইচ্ছা গুলো অন্যদের উপর চাপিয়ে দিই ?"

- " গুঞ্জা আমার দিকে তাকা " উনি গুঞ্জার মুখটা নিজের দিকে তুলে বললেন, " কেউ কি তোকে কিছু বলেছে? "

- " না মা আমাকে কে কি বলবে, আমি জাস্ট জিজ্ঞাসা করলাম।"

- " সত্যি বলছিস তো? "

- " হুঁ, আচ্ছা মা যদি তোমার তৈরি কোনো জিনিস মানে ধরো তুমি একজন গায়ক তুমি একটা গান নিজে লিখেছো আর তোমার গানকে আমি খারাপ বললাম মানে ধরো সেটা আমার ভালো লাগেনি তাই আমি খারাপ বলেছি সেটা কি আমার ভুল? "

- " আমি জানি না গুঞ্জা তোর কি হয়েছে তবে দেখ তুই যেই প্রশ্নটা করলি তোকে বোঝানোর জন্য তোকে দিয়েই উদাহরণ দিচ্ছি। তোর মনে আছে নিশ্চয়ই তুই প্রথম যখন আঁকা  শিখে নিজে একটা ছবি এঁকেছিলিস ছবিতে তোর বাবা আমি আর তোর ওই শিমুল দিদি কি কি কমেন্টস করেছিলাম!"

- " হ্যাঁ, তুমি আর বাবাই বলেছিলে  ভালো হয়েছে তবে আরো ভালো করতে

হবে আর শিমুল দিদি বলেছিল খুব খারাপ হয়েছে ও হেসেও ছিল "

- " এবার বল তোর কষ্ট লেগেছিল কিনা? "

- " হুম কষ্ট পেয়েছিলাম ওর বাজে ভাবে বলায় "

- " সেরকমই একজন গায়কের গান, লেখকের লেখা কিংবা শিল্পীর শিল্প তোমার ভালো নাই লাগতে পারে তুমি তার সমালোচনাও করবে তবে এমন কোনো খারাপ ব্যবহার করে নয় যাতে তার খারাপ লাগে "

- " কিন্তু তুমি বলো এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হওয়া মানুষদের কি করে ট্যালেন্টেড বলতে পারি! এদের কি মানুষ মিছিমিছিই মাথায় তোলে না? "

- " গুঞ্জা তুই বড় হয়েছিস বুঝতে শিখেছিস তারপরও এরকম কথা বলছিস! দেখ আমি জানি তুই ওই ছেলেটাকে পছন্দ করিস না তার মানে এই নয় যে ওকে ট্যালেন্টেড বলবি না, ট্যালেন্ট আছে বলেই কিন্তু ওকে কয়েক কোটি মানুষ পছন্দ করে "

গুঞ্জা বড় বড় চোখ করে বলল, " তুমি কি করে জানলে? "

- " তোর বোনও লাইভ দেখছিল আর তখনই.. সে যাই হোক ওটা এক্সিডেন্টলি হয়ে গেছে। আমি তোর বন্ধু অর্পিতাকে ফোন করেছিলাম ওর থেকে সব শুনেছি "

- " নম্বর পেলে কোথায়? "

- " তোর ফোন থেকে, তোকে যদি ফোনে না পাই তাই তোর সব বন্ধুদের নম্বর তোর ফোন থেকে নিয়ে রেখেছি "

গুঞ্জা ওর মায়ের দিকে তাকিয়ে ওর মা বললেন, " আসলে আমারই দোষ তোকে দূরে দূরে রেখে ছোট থেকে ভালো শিক্ষা গুলো দিতে পারিনি "

গুঞ্জার যেন কথাটা মনে গেঁথে গেল মুখটা চুন করে বলল, " সরি মা, ভুল হয়ে গেছে " মেয়ের গলার আওয়াজ শুনেই রেখা দেবী বুঝলেন উনি একটু বেশিই কড়া ভাবে বলে ফেলেছেন তাই গুঞ্জাকে নিজের বুকে জড়িয়ে ধরে বলল, " গুঞ্জা তোর মনে হয় না এই টুকু তো আমাদের জীবনকাল এই টুকু সময়ে আমরাকম মিছিমিছি কারো উপর রাগ, অভিমান, হিংসা, শত্রুতা এসব করবো? একজন ভালো মানুষ কখনো কাউকে অপমান করে না, হ্যাঁ মানছি কিছু সময় প্রতিবাদ করতে হয় কিন্তু সেটাও জিভকে সংযত রেখে তুই ছেলেটাকে অনেক খারাপ বলেছিস ও যদি সেরকম হতো তোকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে লাইফটা হেল করতে ওর দুমিনিটও লাগতো না। কিন্তু ও ভালো বলেই তোর হয়ে বলেছে "

- " আমার খুব খারাপ লাগছে মা, এখন কি করবো? "

- " সেটা আমি কি করে বলবো? সেটা তোকে নিজেকেই বার করতে হবে। এখন ঘুমিয়ে পর "

গুঞ্জা মায়ের পাশে শুয়ে পড়লেও কিছুতেই ঘুম এলো না। দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ কেটে গেছে গুঞ্জা আজ কলকাতায় ফিরে যাচ্ছে, প্রথমে ওর মেসে যাবে তারপর কলেজে তারপর ওর নতুন ফ্ল্যাটে।

গুঞ্জা বাস থেকে নেমে কিছুটা হেঁটে ওর মেসের দিকে গেল, ওর সব বন্ধুরা কলেজ যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিল ওকে দেখে সবাই একসাথে জড়িয়ে ধরলো মল্লিকা বলল," গুঞ্জা তোকে খুব মিস করছিলাম বেবি 

- " আমিও রে "

- " কেমন আছিস চাশমিশ? " (তন্নী)

- " চাশমিশ  বললি যখন তখন ভালো নেই "

- " হুম হুম বুঝতেই পারছি আর এদিকে যে আপনার প্রাণও প্রিয় তিনিও কষ্টে ভেঙে পড়েছেন " (অর্পিতা)

- " মানে? "

- " ওই মানে পরে জানবি আগে কলেজ চল এরপর দেরি হয়ে যাবে " (নীলাঞ্জনা)

ওরা একসাথে বেরিয়ে পড়ল কলেজের উদ্দেশ্যে। কলেজ থেকে বেরোতে বেরোতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেছে। সবাই সামনের রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়ে দেয়ে সোজা গুঞ্জার ফ্ল্যাটে গেল।

ফোর্থ ফ্লোরে একটা দু কামরার ঘর সাথে রান্নাঘর, বাথরুম, ছোট বসারঘর, স্টাডি রুম, আর দুটো ঘরেই একটি করে ব্যালকনি। গুঞ্জা দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে এদিক ওদিক তাকিয়ে বড় বড় চোখ করে বলল, " ওহ বাবাই এর চয়েস আছে, কি দারুণ! " ওর বন্ধুরা একে একে ঘরে ঢুকে এদিক ওদিক পর্যবেক্ষন করতে গেল।

চলবে..... 


[নীল আর গুঞ্জার চরিত্র টা কেমন লাগছে কেউ তো জানাও। আর এই কয়েকটা পর্বে কি তোমার কেউ নীল আর গুঞ্জা চরিত্রটা কে বুঝতে পেরেছো? ]

আরো নতুন নতুন Bangla Golpo এবং Poem পড়ার জন্য এক্ষুনি আমাদের সাইটটিকে বুকমার্ক করে রাখুন এবং আমাদের ফেসবুক পেজ টি লাইক করুন যাতে পরবর্তী নতুন কোন Bengali Golpo বা Kobita আমাদের সাইটে প্রকাশ হলে আমাদের সাইটের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলির দ্বারা আপনি আপডেট পেয়ে যান । 

Post a Comment

0 Comments